স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বেঁধে দেয়া সময় শেষ হলেও তিনি শিক্ষার্থীদের সমানে হাজির হননি। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বুয়েটের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ের দেয়ার পরপরই শিক্ষার্থীদের সামনে এসেছেন তিনি।
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবির সাথে নীতিগত সমর্থন দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
আবরার হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে নীতিগত সমর্থন জানিয়ে ভিসি বলেন, তোমরা যে দাবিগুলো করেছে, আমি সেই দাবিগুলো মেনে নিয়েছি। আমি তোমাদের দাবির সঙ্গে নীতিগত সমর্থন জানাচ্ছি। আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।
একপর্যায়ে ভিসিকে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, আবরার হত্যার ঘটনার পর তিনি কেন ক্যাম্পাসে আসেননি? জবাবে ভিসি বলেন, আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের পর তালা দিয়েছে আবার হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, ভিসি স্যার আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বারবার সময় দিয়েছি। কিন্তু সাক্ষাৎ না করায় আমরা তালা দিতে বাথ্য হয়েছি।
সোমবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে তারা ভিসি কাযালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ৮দফা দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এর আগে ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ওই সময় তারা জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করতে হবে। প্রশাসনের দায় স্বীকার করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যার নীরব কেন জবাব চাই জবাব চাই, প্রশাসন নীরব কেন জবাব দাও জবাব দাও, আমার ভাই কবরে ভিসি কেন বাহিরে এসব স্লোগানে মুখর করে তুলেছে কার্যালয়ের সামনের প্রাঙ্গন।